Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জুন ২০২৪

কেরু এ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিঃ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।
ডিস্টিলারী ইউনিট

\ মূখ্য তথ্যাবলী \

১।    স্থাপনের সময়কাল            --    ১৯৩৮ ইং

২।    উৎপাদন ক্ষমতা      --    ১০,০০,০০০ এল,পি,জি  (৪৫.৪৬ লক্ষ প্রুফ লিটার)

৩।    যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান        --    মেসার্স পিন গ্রিসইটি মোলেট ফনটেইন, ফ্রান্স।

৪।    মোলাসেস ট্যাংকের সংখ্যা        --    ৫ (পাঁচ) টি

৫।    মোলাসেস ট্যাংক সমূহের ধারণ ক্ষমতা    --    ৬,৩০০ এম,টন।

৬।    স্পিরিট গোডাউন ও রিসিভার কক্ষের ধারণ ক্ষমতা ঃ-

            গোডাউনের নাম             ভ্যাটের সংখ্যা    ধারণ ক্ষমতা (বিজি)
      ক) দেশী মদের গোডাউন                ৯                     ৮৬,৩৭৩.০০
      খ) রেকটিফাইড স্পিরিট                  ৭                     ৭৮,৪৯৪.০০
      গ) ডিনেচার্ড স্পিরিট গোডাউন        ১০                    ৮২,৭১৫.০০
      ঘ) রিসিভার কক্ষ                              ৮                    ৩৭,৪৭৯.০০
                    মোট ধারণ ক্ষমতা    ২,৮৫,০৬১.০০

৭।    পণ্যাগারের সংখ্যা ঃ
    বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেশীমদ বিক্রয়ের জন্য ১৩টি পণ্যাগার আছে। এছাড়া বিলাতীমদ বিক্রয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১টি করে ২টি বিক্রয় কেন্দ্র আছে।

৮।    আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ ঃ
    মোট ৫৫৮.২৮ লক্ষ টাকা বৈদেশিক এবং ২০৬.৮৬ লক্ষ টাকা স্থানীয় মুদ্রা ব্যয়ে দৈনিক ৪,০০০ এল,পি,জি গ্যালন থেকে ৮,০০০ এল,পি,জি স্পিরিট উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির নিমিত্তে কেরুর  ডিস্টিলারীতে একটি নতুন ডিষ্টিলেশন প্লান্ট স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়। তৎপর্বে ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাসে উক্ত ডিষ্টিলেশন প্লান্ট সরবরাহ, স্থাপন এবং গুণগত মান সম্পন্ন স্পিরিট উৎপাদনের জন্য মেসার্স ভি কে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাঃ লিঃ বোম্বে, ভারতের সঙ্গে অত্র কর্পোরেশনের একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। তদনুযায়ী গত ১৬-১০-১৯৮৭ ইং তারিখে অত্র ডিস্টিলারীর পুরাতন প্লান্টের পাশাপাশি নতুন একটি ডিষ্টিলেশন প্লান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮৮ সালের ৩০শে জুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হয়।

( ২ )নতুন প্লান্টের পরীক্ষামূলক উৎপাদন ঃ

      ক) প্লান্ট স্তাপনার কাজ শেষ হওয়ার পর গত ১-৭-৮৮ ইং তারিখ থেকে ২০-৭-৮৮ ইং পর্যন্ত ১ম পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলে এবং মোট ১৬,৮৬৪ এল,পি,জি স্পিরিট উৎপাদিত হয়।
      খ) অতঃপর গত ১৬-২-৮৯ ইং তারিখ থেকে ২৭-২-৮৯ ইং তারিখ পর্যন্ত ২য় পরীক্ষামূলক  উৎপাদন চলে এবং মোট ২৭,৩৬৪.৫ এল,পি,জি স্পিরিট উৎপাদিত হয়।
     গ) গত ২৩-৬-৯০ তারিখ হইতে ১১-৭-৯০ তারিখ পর্যন্ত ৩য় পরীক্ষামূলক উৎপাদন অব্যাহত  থাকে এবং তখন মেপাট ৭৪,৭৬০.১০ এল,পি,জি স্পিরিট উৎপাদিত হয়।

উল্লেখ্য যে, গুণগত মান সম্পন্ন স্পিরিট তৈরী না হওয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত চারবার পরীক্ষামূলক উৎপাদন সম্পন্ন করে। ৪র্থ এবং সর্বশেষ পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে চুক্তি অনুযায়ী উক্ত স্পিরিটের প্রার্থীত গুনাগুণ যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে উহার নমুনা বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিউশনে পাঠানো হয়। বিশ্লেষণ শেষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ইন্সটিউশন জানায় যে, গুণগতমান চুক্তির শর্ত মোতাবেক ঠিক আছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় বাজারে কিছুটা গ্রহণযোগ্যতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ইতিমধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় আরও ৩টি ডিস্টিলারী স্থাপিত এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের শতকরা ১০০ ভাগ স্থানীয়ভাবে বাজারজাত হওয়ায় এবং সেই সাথে ডিস্টিলারী পণ্যের শুল্ক হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কেরুর ডিস্টিলারীর উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। ফলশ্রæতিতে পরবর্তীকালে দীর্ঘ সময় অধিকাংশ গোডাউনের ভ্যাটগুলি উৎপাদিত স্পিরিট ভর্তি থাকে এবং উৎপাদন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এই প্লান্টোর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হয় নাই। গুণগত মান সম্পন্ন স্পিরিট উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেরুজ ডিস্টিলারী একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এক্ষণে বিশেষ প্রচেষ্টার মাধ্যমে পুরাতন প্লান্টের স্পিরিট দ্বারা অনেকাংশে উক্ত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে কেরুজ ডিস্টিলারী উৎপাদিত স্পিরিট বাজারজাতকরণের প্রতিবন্ধকতা দূর এবং স্পিরিট রপ্তানীর প্রচেষ্টা ফলবতী করতে পারলে অনুক‚ল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি সাপেক্ষে অদুর ভবিষ্যতে নতুন প্লান্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।